পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়া উপজেলা সদরের আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল ২৫ মে পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। এ পদে নিয়োগের জন্য গত ৬ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হলেন পেকুয়ার ইউএনও। গতকাল অনুষ্টিত নিয়োগ পরীক্ষায় ৩জন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য ২ জন প্রার্থীকে পরিক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেওয়ায় অংশ নিতে পারেনি।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার বর্তমান সহ-সুপার মৌলনা আমিনুর রশিদ নিয়োগ বোর্ড়ের কয়েকজন লোককে মোটা অংকে ম্যানেজ করে তারই সাজানো একটি নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। ওই পরীক্ষায় আমিনুর রশিদ, মৌলানা ইসমাইল, মো: ইসমাইল অংশ নেন। অপরদিকে মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও নুর মোম্মদ বোরহান নিয়োগ কমিটির কয়েকজন লোকের চাপের মূখে অংশ নিতে পারেনি।
জানা গেছে, ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পেকুয়ার ইউএনও কক্সবাজারে মিটিংয়ে থাকায় গতকাল সুপার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে পারেনি। তবে ইউএনও ওই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনওর অনুপস্থিতির সুযোগকে পুঁজি করে নিয়োগ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যরা আমিনুর রশিদের কাছ থেকে মোটা অংকে ম্যানেজ হয়ে দায়সারাভাবে পরীক্ষা নেয়। সুপার পদে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা দুই মেধাবী যোগ্য প্রার্থী আনোয়ার সাদাত ও নুর মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন চাপের মূখে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
আনোয়ার সাদাত ও নুর মোহ্ম্মাদ বোরহান অভিযোগ করে জানান, ওই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ সুপার পদে নিয়োগের নামে প্রহসন শুরু করেছে। তারা গতকাল ২৫ মে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেও বাধার মূখে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পেকুয়ার ইউএনও মারুফুর রশিদ খান জানান, তিনি খোঁজ খবর নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের সত্যতা পেলে পরীক্ষা বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
পাঠকের মতামত: